জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মিয়ানমারের রোহিঙ্গা পরিস্থিতিকে একটি বিয়োগান্ত ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই রাখাইন প্রদেশের সহিংসতার অবসান ঘটাতে হবে।
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে, ব্রিটেন এবং সুইডেনের ডাকে নিরাপত্তা পরিষদে বুধবার আরো পরের দিকে একটি বৈঠক হবে।
এই বৈঠকের আগে মি. গুতেরেস এসব মন্তব্য করলেন।
তবে এ বৈঠকের আগের দিন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীন সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিয়েছে, রোহিঙ্গা সঙ্কটে তারা মিয়ানমারের পক্ষে থাকবে।
এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আগে জাতিসংঘে সুইডিশ স্থায়ী প্রতিনিধি ওলোফ স্কুগ বলেন, জাতিসংঘ তাদের ব্যাপারটি দেখবে, এই বার্তা রোহিঙ্গাদের কাছে পৌঁছুতে হবে।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি খুবই গুরুতর এবং সে কারণেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
এছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিবও অনুরোধ জানিয়েছিলেন নিরাপত্তা পরিষদ যেন এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলে।
“আমার মনে হয় যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এখান থেকে যেন একটা ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা নেয়া যায়,” তিনি বলেন, “যেন একটা পরিস্কার বার্তা পাঠানো যায় এখন কি করা উচিত, কিভাবে সেখানে মানবিক সাহায্য পাঠানো যায় এবং কিভাবে কফি আনানের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়।”
জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যে সংখ্যায় মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে ঢুকছে, সে তুলনায় ত্রাণ-সাহায্য অপ্রতুল। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এখনই সাহায্যের মাত্রা অনেক বাড়াতে হবে।
সূত্র, বিবিসি